প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৮:২৩:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
মাসে মাত্র ১০ ডলার আয় দিয়ে শুরু করেছিলেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। ৩ বছর পর এখন প্রতি মাসে তিনি আয় করেন ৭০০/১০০০ ডলার। স্বপ্ন দেখছেন নিজের কাজকে দেশ সেরা আইটি ফার্মের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা। পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা। বর্তমানে প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিএসই বিভাগের ছাত্র হিসেবে আছেন, তার পাশাপাশি এড়িয়া এনার্জি নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করছেন আইটি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে।
ইব্রাহীম লিটু, ২০১৪ সালে ভোলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কম্পিউটার বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে একটু ল্যাপটপ কিনছেন তার বাবার জমানো কষ্টের টাকা দিয়ে সেই কৌতূহলের বসে তিনি অনলাইন আয়ের বিষয়ে আগ্রহী হন। এবং সেই সাথে ছোট ছোট কাজ করে তার সফলতা অর্জন করেন এবং স্থানীয় সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এর বড় ছেলে আইটি বিশেষজ্ঞ ইশরাক চৌধুরী নাওয়াল এর হাত ধরেই এই জগতে তার বর্তমানে পদচারণা। প্রথম দিকে কাজের ক্ষেত্রে নানা বিড়ম্বনারও শিকার হয়েছিলেন তিনি। সব বাধাকে জয় করে দীর্ঘ 6 বছর এর কঠিন পরিশ্রমে এখন তিনি সফল ফ্রিল্যান্সার। অনলাইনে ঘরে বসেই সব কাজ তার। বিদেশি গ্রাহকের কাছে থেকে কাজ বুঝে নিয়ে সেই কাজ করে দিয়ে ডলার আয় করিতেছে। তার দেখানো পথে হাঁটে এলাকার অনেক তরুণ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে নূরনবী চৌধুরী শাওন ফ্রি আইসিটি প্রশিক্ষণ সেন্টারে একজন দক্ষ ট্রেইনার হিসেবে আছেন, অফলাইন এবং অনলাইন এর মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করিয়ে থাকেন এই কোর্সের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করে ইনকাম করার সুযোগ পেয়েছেন।
অনলাইনে কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার বিষয়ে ইব্রাহীম খলিল (লিটু) জানান, নিজের স্কিল থাকলে কাজের অভাব হয় না। একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর টি খুবই প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং সেই সাথে নিজের কোন প্রতিষ্ঠান দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে তার ব্যবসা পরিচালনা করার বিশেষ সুযোগ থাকে।